Sunday 2 February 2020

জাত চুম্বক


কাঠবিড়ালি, কবুতর ইত্যাদি নরম ও নিরীহ সোহাগের দ্বিপদী মাত্রেই দাবিদার, মেনে নেব ভালোবেসেছ যদি কালসর্প কোলে ঘুমায় তোমার, বিলি কেটে দিয়ে যায় ব্যাঘ্রের জাত।

ভাবছ কেন বলছি এসব ? বড় গভীর এক দহতে লুকোচুরি। ঘাট থেকে ঘাট, সাম্পানখানি ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়, ভেড়ে না, ধারণের মাটি অতো সহজ নয়। স্নায়ুতে যন্ত্রণা এলে কারণ খুঁজতে নেই, ঘুমপাড়ানি ছড়ায় যে বর্গীরা আসে শৈশবে, প্রজাতন্ত্রের উল্লাসে তাদেরই নিখুঁত রূপ ম-কার চারিতায়। রঙের নাম রাত্রি হলে বহু অশ্বের ছিন্ন মাথা তাড়া করে ফেরে, হোঁচট খেলে অপত্য মুখ সম্বিত ফেরায়। কোনো বৃক্ষে সে আশ্রয় নেই যা ঝড়ের ডানায় এক পাখি এঁকে রাখে, না কোনো সুরায় এতো তারল্য যা 'মিসিং' নেভাতে পারে। এত প্রবল করে রেখেছ ব্যথার পরাগধানি, ভীষণ রকম বুঝতে পারি প্রদক্ষিণই বিধি। মেরু থেকে ঝরতে থাকা বিকর্ষণের লিপি, এই জনমে তোমায় অতিক্রম? বকেয়া দিল্লাগি।

5 comments:

  1. আলিঙ্গনের দিনে লেখার আলিঙ্গন

    ReplyDelete
  2. অসাধারণ এক উন্মোচন, মেধার গভীরে জলতরঙ্গ। সোনালী তোমার কবিতা স্বাতন্ত্র্য উজ্জ্বল। বাংলা কবিতার পেলব ভুবনের বিপরীতে ঋজু, ব্যতিক্রমী উচ্চারণ।

    ReplyDelete
  3. তবে মিসিং,দিলাগি কানে লাগল। ভেবে দেখো।

    ReplyDelete