জন্মদিন
কার শঙ্খের
নাম ছিলো কী, বিপন্ন সূর্যের ধারাপাতে থাকবে না কোনোদিন,
ভেসে যাবে বিষাদ কৌমুদকী, সায়র ধোয়া আলোর
তরবারি দূর থেকে শুষে নেবে দ্রোহ, নিভে যাবে অভিমান, হয়ত জড়িয়ে নেবে উদাসীন নামাবলী, ফসিলে জমানো থাক
কাছিমটির অপেক্ষা, অবসরে পদাবলী ছিঁড়ে এই সর্পযোনিতে আমি
মেঘে মেঘে প্রণয় অসম্ভব কাব্যই লিখি।
চড়া
গর্ভাশয়
খুঁড়ছো প্লাস্টিকের সেতু ভেবে? আঁশ জ্ঞানে নির্লিপ্তিতে
ছিঁড়ে চলেছ একের পর এক রুখসতের ধমনী? দুটো দ্বীপ কখনো জানে না
মাঝের জলটুকুই তাদের একমাত্র সংযুক্তি। তোমায় দেখে বুঝি নিতাই শুধু একলা নয়,
কী সহজে ভুলে যায় যে কোনো পুরুষ ঈর্ষার আদিমতম শত্রু নিরাসক্তি।
ভারবাহী গাধাকে তুমি পাখি নাম দিতে পারো, মানুষের যে কোন
ভাষা অরণ্যের আঙিনায় প্রলাপ বই তো কিছু নয়। নতুন কোনো নদীর জন্ম যে গুহামুখ দেয় না
তার শৈবাল কোন অশ্বের চারনভূমি হয়? ভেজা পাতা থেকে হরফ লুঠ
হয়ে গেছে, ছেঁড়াখোড়া প্রচ্ছদে এত যুদ্ধের
বীজ গেঁথো না যেন কাছিম তার আড়া বিস্মৃত হয়, ব্যক্তিগত
স্মরণিকায় লেখা থাক, কাঠ নামে ডাকার আগে বৃক্ষকে মৃত হতে হয়।
অন্য অভিজ্ঞতা। অনন্য।
ReplyDeleteঅসম্ভব সুন্দর লেখা । দুটো কবিতাই ।
ReplyDeleteকাঠ নামে ডাকার আগে বৃক্ষ হতে হয়...
ReplyDeleteআহা
কি লেখা
কেয়া বাত
লজ্জাবতী লতার মতো আলুলায়িত বা সোজা সরল ন্যারেটিভে ঠাসা এখনকার অধিকাংশ বাংলা কবিতার বিপরীত মেরুতে সোনালী চক্রবর্তীর কবিতা। এক গভীর বোধে, মেধার কুলুঙ্গিতে কড়া নাড়ে। নিজস্ব ভাষা বা ডিকশনে উজ্জ্বল। কী ভাষা, কী প্রতীক, কী মিথের ব্যবহার- সব কিছু মিলে এক অনন্য সৃজন। যাঁরা কবিতায় আবেগের জোলাপ নয়, চান মেধাবী আলোর রামধমু, চান আবিষ্কারের বিস্ময়-সেই সব দীক্ষিত পাঠকের জন্য খোসা ছাড়ানোর অপেক্ষায় সোনালীর কবিতা।
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDelete'দুটো দ্বীপ কখনো জানে না মাঝের জলটুকুই তাদের একমাত্র সংযুক্তি' মানুষও তেমন, কেবলই দূরত্ব খোঁজে, মন বোঝে না...
Delete'দুটো দ্বীপ কখনো জানে না মাঝের জলটুকুই তাদের একমাত্র সংযুক্তি' মানুষও তেমন, কেবলই দূরত্ব খোঁজে, মন বোঝে না...
ReplyDeleteমানুষ ... বড় ভয়ংকর শব্দ
ReplyDelete